উম্মতে মুহাম্মাদীর গড় বয়স ৬০ থেকে ৭০ বছর হবে। এরূপ বয়সে কেউ উপনীত হ’লে মৃত্যুর ব্যাপারে তাকে অধিক সতর্ক থাকতে হবে। হাদীছে এসেছে,
عَنْ أَبِى هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم: أَعْمَارُ أُمَّتِى مَا بَيْنَ سِتِّينَ إِلَى سَبْعِيْنَ وَأَقَلُّهُمْ مَنْ يَجُوْزُ ذَلِكَ
আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘আমার উম্মতের বয়স হ’ল ষাট ও সত্তরের মাঝে। তাদের খুব কম সংখ্যকই এই সীমা অতিক্রম করতে পারবে’।[1] কেউ সত্তর বছর বয়স পাওয়ার পরেও নেক আমল করে জান্নাত লাভ করতে না পারলে সে কোন আফসোস করতে পারবে না। এজন্য আল্লাহ বলেন, وَهُمْ يَصْطَرِخُونَ فِيْهَا رَبَّنَا أَخْرِجْنَا نَعْمَلْ صَالِحًا غَيْرَ الَّذِي كُنَّا نَعْمَلُ أَوَلَمْ نُعَمِّرْكُمْ مَا يَتَذَكَّرُ فِيهِ مَنْ تَذَكَّرَ ‘আর সেখানে তারা আর্তনাদ করে বলবে, হে আমাদের প্রতিপালক! এখান থেকে আমাদের বের করুন। আমরা সৎকর্ম করব। পূর্বে যা করতাম তা করব না। (তখন আল্লাহ্ বলবেন,) আমরা কি তোমাদের দীর্ঘ জীবন দেইনি? তখন কেউ উপদেশ গ্রহণ করতে চাইলে করতে পারত’ (ফাতির ৩৫/৩৭)। রাসূল (ছাঃ) বলেন,أَعْذَرَ اللهُ إِلَى امْرِئٍ أَخَّرَ أَجَلَهُ حَتَّى بَلَّغَهُ سِتِّينَ سَنَةً ‘আল্লাহ তা‘আলা যাকে দীর্ঘায়ু করেছেন, এমনকি যাকে ষাট বছরে পৌঁছিয়েছেন তার ওযর পেশ করার সুযোগ রাখেননি’।[2] অন্যত্র রাসূল (ছাঃ) বলেন, مَنْ عُمِّرَ مِنْ أُمَّتِيْ سَبْعِيْنَ سَنَةً، فَقَدْ أَعْذَرَ اللهُ إِلَيْهِ فِي الْعُمُرِ ‘আমার উম্মতের যাকে সত্তর বছর বয়স দান করা হয়েছে, আল্লাহ তাকে বয়সের ব্যাপারে ওযর পেশ করার সুযোগ দেবেন না’।[3]
[1]. তিরমিযী হা/৩৫৫০; মিশকাত হা/৫২৮০; ছহীহাহ হা/৭৫৭।
[2]. বুখারী হা/৬৪১৯; মিশকাত হা/৫২৭২।
[3]. হাকেম হা/৩৬০১; ছহীহুল জামে‘ হা/৬৩৯৭; ছহীহুত তারগীব হা/৩৩৬০।
সম্পুর্ন আর্টিকেল টি পড়তে নিচের লিনক টি ভিজিট করুন।
http://sotterdikeahobban.com/2018/05/30/12742/